বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ মাটির নীচে এখনও এমন অনেক কিছুই আছে যা মানুষের অজানা । আর গুপ্তধন তো মাটির নীচ থেকেই পাওয়া যায় । এমনই এক প্রাচীন মন্দিরের নীচে মাটি খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল খ্রিস্টপূর্ব এক হাজার থেকে বারোশো শতকের পুরনো খাঁটি সোনার মুদ্রা । গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছে – এই খবর পাওয়া মাত্র এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ।
চেন্নাই-এ জম্মুকেশ্বর নামে এক প্রাচীন মন্দিরের সংস্কার চলছিল । সংস্কার চালাকালিন খনন কাজ করার সময় মন্দিরের মাটির নীচ থেকে মাঝারি আকারের একটি পিতলের কলস পাওয়া যায় । পিতলের কলসের মুখ খুলতেই বেরিয়ে পড়ে রাশি রাশি স্বর্ণ মুদ্রা । এক সাথে এতগুলি প্রাচীন সোনার মুদ্রা সম্প্রতিকালের মধ্যে পাওয়া যায়নি । জানা গেছে মোট ৫০০র উপরে মুদ্রা পাওয়া গেছে যার মোট ওজন এক কেজি ৭১৬ গ্রাম ।
মন্দিরের পক্ষ থেকে গুপ্তধন প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছে । জানা গেছে মুদ্রাগুলির আঁকার সব সমান নয় । এছাড়া সোনার মুদ্রায় আরবি শব্দে বেশ কিছু অক্ষর রয়েছে । প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে খুব সম্ভবত এই সোনার মুদ্রাগুলি খ্রিস্টপূর্ব এক হাজার থেকে বারোশো শতকের । তবে আরবি ভাষায় ঠিক কি লেখা রয়েছে মুদ্রাগুলিতে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি । আরবি শব্দগুলি উদ্ধারের জন্য ভাষা বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।
মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে খনন কাজ করার সময় মাটির প্রায় সাত ফুট নীচে হঠাৎ একটি পিতলের পাত্র দেখা যায় । পাত্রটি উদ্ধার হবার পর দেখা যায় পুরো স্বর্ণমুদ্রায় পরিপূর্ণ ছিল পাত্রটি । এরপর সমস্ত স্বর্ণমুদ্রা সমেত পাত্রটিকে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত পরীক্ষা করে দেখার জন্য পাত্র ও সোনার মুদ্রাগুলিকে ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অতি উৎসুক জনতাকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মন্দির এলাকা প্রশাসনের পক্ষ নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে ।