বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশ বিমান এয়ার লাইন্সের চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭-৮ রাজহংস আজ শনিবার বিকালে দেশে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটনে তৈরি হয় এই ড্রিমলাইনার রাজহংস। আগামি ১৭ তারিখ মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজহংসের শুভ উদ্ভোধন করবেন।
বাংলাদেশ বিমানের তথ্য মোতাবেক জানা যায় রাজহংসের চাবি এরই মধ্যে বোয়িং কোম্পানি বিমানকে বুঝিয়ে দিয়েছে। এ বিমানটি যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের সরকারি একমাত্র বিমান পরিবহন কার্যক্রম। বাংলাদেশের পতাকা বহন করে এই বিমান কোম্পানী। আর্ন্তজাতিক রুটের পাশাপাশি আভ্যন্তরিন সেবাও প্রদান করে থাকে। বিশ্বের প্রায় ৪২ টি দেশের সাথে বাংলাদেশ বিমানের আকাশ সেবার চুক্তি রয়েছে। বর্তমানে ১৬টি দেশে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে কখনো দুর্নীতি আবার বিমান বন্দর পরিচালনা ব্যর্থতার খাতিরে। ইন্টারনেট ব্যাবহার ও ফোন কলের মত আধুনিক সুবিধা সহ ড্রিম লাইনার ৭৮৭-৮ বাংলাদেশের বুকে এই প্রথম। ড্রিম লাইনার ৭৮৭-৮ বিমানটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বিমান নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সিয়াটলের এ কোম্পানির অত্যন্ত সফলতার সাথে বোয়িং ৭৩৭, ৭৪৭, ৭৭৭, ৭৭৭-৩০০, ৭৪৭-৪০০, ৭৪৭-৮, ৭৭৭-২০০। দীর্ঘদিন থেকে এইসব মডেলের বিমানগুলো অত্যন্ত নির্ভরযোগ্যতার সাথে যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত আছে।
ড্রিম লাইনার ৭৮৭ মডেলটি অপেক্ষাকৃত নতুন। এটি দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট এবং মাঝারি আকৃতির একটি বিমান। প্রকার ভেদে ৩ টি শ্রেণিতে বিমানটি ২৪৫ থেকে ৩৩৫ জন যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম। এর উড্ডয়ন প্রক্রিয়া প্রায় পুরোটাই বোয়িং ৭৭৭ এর সাথে মিল রেখে তৈরি করা। এজন্যে ৭৭৭ এর পাইলটরা কোন রকম প্রশিক্ষন ছাড়াই ড্রিম লাইনার চালাতে পারবেন। ড্রিম লাইনার ৭৮৭ বিমানটির সবচাইতে বড় বিশেষত্ব হল এটি একই রকম অন্যান্য বিমানগুলোর চাইতে কম তেল খরচে চলতে সক্ষম। এর আগের মডেল বোয়িং ৭৬৭ এর চাইতে ড্রিম লাইনার ৭৮৭ কমপক্ষে ২০% কম তেল খরচে চলতে পারে। এছাড়া এই বিমানে সন্নিবেশ করা হয়েছে আরও অত্যাধুনিক কিছু প্রযুক্তি যেমন ইলেক্টিক্যাল ফ্লাইট সিস্টেম, চার প্যানেল বিশিষ্ট উইন্ডশিল্ড, শব্দ নিরোধি ।