বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক-আর কত পুড়লে সোনা হওয়া যায়। প্রত্যেকটি গাছ একটি অক্সিজেনের সিলিন্ডার। তার তো পুড়ে সোনা হওয়ার দরকার নেই। সে নিজেই সোনা। বিশ্ববাসী, বিশ্বনেতারা সবাই এ কথা জানেন কিন্তু মানেন না। যে আমাজন অরণ্যকে বলা হয় পৃথিবীর দ্বিতীয় ফুসফুস। পৃথিবীতে এই মুহুর্তে যে অক্সিজেনের চাহিদা তার ২০ শতাংশ যোগান দেয় এ বন। সেই বনটি নি:শব্দে পুড়ে চলছে। পুড়ছে বন জ্বলছে আমার ফুসফুস। তবুও আমরা জ্বলছি না। গত কয়েকদিন আগে মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য মতে, তাদের উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, আফ্রিকার দক্ষিণ অংশ জুড়ে একই রকম ভয়াল আগুন পুড়িয়ে দিচ্ছে অরণ্য।
আফ্রিকার প্রায় ১০ লাখ বর্গমাইল এর বেশী জুড়ে এ বনাঞ্চল। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন এভাবে বৃহত্তম অরণ্যগুলো ধ্বংস হয়ে গেলে জলবায়ু ওলোটপালোট হয়ে যাবে। বহু প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেবে অচিরেই। আমাজন জঙ্গলের আগুন ভয়াবহ রুপ নেওয়ার পরেই সারা বিশ্ব জেনেছে। এই আগুন জ্বলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। মূলত: জমি দখলের জন্য জঙ্গলে আগুন লাগান হচ্ছে।
রাষ্ট্র মুনাফারার লোভে বনাঞ্চলকে চাষযোগ্য জমি করার জন্য এ কাজ গুলি করছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, নিরক্ষরেখা অঞ্চলের জঙ্গলেই এই ধরনের আগুনের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। কারণ এই অঞ্চলের জঙ্গল ধ্বংস করে তা চাষজমি হিসেবে বিক্রি করা তুলনামূলক ভাবে সহজ। একই সাথে এর পিছনে বড় বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলির মদত রয়েছে। আর তার সাথে রয়েছে রাষ্ট্রের প্রশ্রয় মুনাফার লোভে।