বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ইতি মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার করোনা সংক্রমণকে “জাতীয় বিপর্যয়” হিসাবে ঘোষণা করে দিয়েছে । এবার পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য রাজনীতি একদিকে সরিয়ে রেখে দেশের সকল মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসার ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী । আগামীকাল শুক্রবার বিকাল চারটের সময় মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আলোচনা হবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
আজ বৃহস্পতিবার করোনা মোকাবিলা এবং সচেতনতা বাড়াতে নরেন্দ্র মোদী রাত আঁটটায় জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন । ভারতে ইতিমধ্যে স্টেজ-২ অবস্থায় রয়েছে করোনা ভাইরাস । কিন্তু যদি এটি স্টেজ-৩ এ চলে যায়, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । প্রতিদিনই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হবার খবর আরও চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে ।
গতকাল বুধবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরে টুইট করে নরেন্দ্র মোদী দেশ বাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণের কথা জানিয়েছেন । এই মুহূর্তে রাজ্য গুলির মধ্যে করোনা সংক্রমণে শীর্ষে আসে মহারাষ্ট্রে । এই মুহূর্তে বিশ্বে চীনের পরেই ইতালিতে ক্রমশ করোনা সংক্রমণ মহামারীর আকার ধারন করতে চলেছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা বুধবার সন্ধ্যার বৈঠকে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে কী কী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত না নিয়েও আলোচনা করেছেন । সেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এবার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্ত করার কথা ভাবা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
ভারতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারীভাবে যে সব সাবধান মূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা ‘হু’য়ের ভারতে নিযুক্ত প্রতিনিধি হেঙ্ক বেকেডাম । তিনি বলেন, “আলাদা করে ভারত ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করার কাজ করছে। এটা অভূতপূর্ব। আমাদের যে গবেষণা চলছে, তাতে ভারতকে যুক্ত করে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরকেও দরাজ সার্টিফিকেট দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই অধিকর্তা। তিনি বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত শক্ত হাতে করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ করছেন। সরকার যে দায়বদ্ধ তা বোঝা যাচ্ছে। তাঁর দফতর নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রাণপাত পরিশ্রম করছেন গবেষকরা।”