বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বর্তমানে করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারীর রূপ নিয়ে নিয়েছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। চীন থেকে শুরু হওয়া এই ভাইরাস এখন ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। চীনের পরেই স্থান পেয়েছে ইতালি এবং ইরান। ভারতেও আসতে আসতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।
ডাক্তার এবং বিজ্ঞানীদের সমীক্ষায় জানা গেছে যে, বর্তমানে ভারত করোনা ভাইরাস এর দ্বিতীয় পর্যায় আছে। অর্থাৎ ভারত রয়েছে Covid-19 এর stage 2 তে। তাতেই দেশ জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মল, পাবলিক প্লেস, স্কুল, কলেজ গুলি। যেহেতু এখনও অবধি করোনা ভাইরাসের কোনও রকম কোনও প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। তাই শুধুমাত্র সাবধানতা অবলম্বন করা ছাড়া কোনও উপায় নেই এই মুহূর্তে।
করোনা ভাইরাসে ভারত এখন স্টেজ ২ তে আছে, এই প্রসঙ্গে আইসিএমআর এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভারগভ বলেন,” থার্ড স্টেজ মানে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। আশা করি আমাদের এই পর্যায়ে যেতে হবে না। ” তিনি আরও বলেন,” আমরা আন্তর্জাতিক সিমান্ত যত ভালোভাবে বন্ধ রাখতে পারব, সংক্রমণ ঠেকাতে তত সুবিধে হবে। কিন্তু কমিউনিটি ট্রান্সমিশন যে হবে না, একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম পর্যায় হল আক্রান্ত হওয়া, বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদের ক্ষেত্রে ঘটে। দ্বিতীয় পর্যায় হল, সেই সংক্রান্ত ব্যাক্তির থেকে তার আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ছড়ানো, তৃতীয় পর্যায় একটি বড় জায়গা জুড়ে সেই ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়া। ইতালি এবং ইরান রয়েছে স্টেজ ৩ তে এবং স্টেজ ৪ এ তা মহামারীর আকার নেয়, যেটা চীনে হয়েছে।
চীন, ইরাক এবং ইরানে করোনা ভাইরাস stage 2 পার করার পরই মহামারীর রূপ নেয়। কার্যত সারা বিশ্ব এখন গৃহবন্দী। ভারতে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মেলে ৩০শে জানুয়ারী। তারপর মার্চ মাস অবধি ১২৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে ভারতে। তারমধ্যে মারা গেছে ৩ জন।
করোনা ভাইরাস যাতে ভারতে stage 2 পার না করে তাই জন্য বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।এর মধ্যেই মুম্বাইতে যেমন জারি হয়েছে জরুরী ১৪৪ ধারা তেমনই বাংলায় চালু হয়েছে মহামারী আইন। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ঘোষণা করছেন কি করা উচিৎ এবং কি না। আগামী ১৫ই এপ্রিল অবধি যেমন বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমস্ত পাবলিক প্লেস। তেমনই মাস্ক পরায় আনা হচ্ছে সতর্কতা।
মাস্ক পরা নিয়ে জারি হওয়া নতুন নির্দেশিকাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে, সকলের মাস্ক পরার দরকার নেই। বাচ্চা, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলারা মাস্ক ব্যবহার করুক। এছারা যারা সংক্রামিত কিংবা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের লোকেরা অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
এছাড়াও যাদের হাঁচি, কাশি কিংবা সর্দি বা শ্বাসকষ্ট আছে তাদের অবশ্যই মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। এছাড়াও কিছু স্বাস্থ্য বিধি যেমন, বার বার হাট ধোয়া, পরিচ্ছন্ন থাকা, জল খাওয়া এই সব গুলো মেনে চললেই অবশ্যই এই মারণ ব্যাধির মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মানছেন স্বাস্থ্য দফতর।