বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বসন্তের এই অকাল বৃষ্টিতে আবারও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর দাপট এমনটাই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। বসন্তের শুরু থেকেই শুরু হয়েছে অকাল বৃষ্টি। বর্তমানে করোনা ভাইরাস নিয়ে এমনিতেই সারা বিশ্ব যেন আতঙ্কিত, আবার ডেঙ্গুর আশঙ্কা যেন এর দোসর।
বসন্তের শুরু থেকেই তাপমাত্রার অস্বভাবিক পরিবর্তন হচ্ছে। কখনও ঠাণ্ডা, কখনও গরম আবার মাঝে মাঝেই ঝঞ্ঝার জেরে শুরু হচ্ছে বৃষ্টি। এই অকাল বৃষ্টিতে চারিদিকে জল জমতেও শুরু করেছে। ফলে সেখানে ডেঙ্গু মশা অর্থাৎ এডিস ইজিপ্টাই বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়ে গেছে। এছাড়া চলতি মাসের শুরুতেই দু দফায় বৃষ্টি হয়ে গেছে বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্ররার পারদ। যা ডেঙ্গু মশার পক্ষে আদর্শ আবহাওয়া।
এই প্রসঙ্গে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” জল জমা বন্ধ করতে না পারলে ডেঙ্গি পরিস্থিতি তৈরি হবার আশঙ্কা থাকে। ” এছাড়াও মাশাবাহিত রোগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী বলেন,” এখন সারা বছরই অল্প বিস্তর ডেঙ্গু হয়। শীতের পর ধীরে ধীরে সংখ্যা বেড়ে বৃষ্টির পর ব্যপারটা লাগাম ছাড়া হয়ে যায়। ইতিমধ্যে কয়েকজন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি।”
যদিও অকাল বৃষ্টিতে জমা জলের এবং ডেঙ্গুর প্রসঙ্গে কোলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন,” সাম্প্রতিক বৃষ্টির জমা জলে ডেঙ্গু মশার সুপ্ত ডিম থাকার অর্থই হল, তা থেকে লার্ভা এবং পিউপার স্তর পেরিয়ে সংরামিত মশা জন্মাবে ৮-১০ দিনের মাথায়। তাই সতর্কতা দরকার।”
যদিও কোলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, ” আমরা এখন সারা বছরই ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ করে থাকি। কোলকাতার ১৪৪ টি ওয়ার্ড এর প্রতিটিকে ছটি অংশে ভাগ করে এমনভাবে কাজ করা হয় যাতে, প্রতিটি জায়গা একবার পরিদর্শনের পর এক সপ্তাহের মাথায় ফের পরিদর্শন করা যায়। মশা যেহেতু এক সপ্তাহের কম সময়ে জন্মায় না, তাই ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে নেই।” যদিও শুধু পুরসভা নয় সচেতন হতে হবে সাধারণ মানুষকেও।