লোকসভায় তুমুল হট্টগোলের মধ্যে পাস হলো লোকসভা আধার আধার বিল । কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস তীব্র আপত্তি করেছিল আধার বিল পাস করার বিরুদ্ধে । কিন্তু বিপক্ষ দলের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় পাস হয়ে গেল আধার ও অন্যান্য আইন (সংশোধনী ) বিল 2019 । প্রথমে আপত্তি জানায় কংগ্রেসের তরফ থেকে লোকসভার দলনেতা বহরমপুরের সাংসদ শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী । প্রথমে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “আপনারা যাই বলুন না কেন, এটা মনমোহন সিং সরকার এর মানসপুত্র । আপনারা আধার উধার (ধার) নিয়েছেন । কিন্তু যেভাবে এর প্রয়োগ করা হচ্ছে তা যথাযথ নয় । মনে রাখতে হবে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আধার এর গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে নিন্দা করেছে । কাজেই আগে আধার কার্ডে থাকা গোপন ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে” ।
অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন মহুয়া মিত্র । কৃষ্ণনগরের এই সাংসদ বলেন, ” আঁধারে যেসব ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া হয় তার নিরাপত্তা, বা গোপনিয়তা কোনটাই নেই । থাকবেই বা কী করে ? আমাদের দেশে তথ্য নিরাপত্তা আইন নেই এই বিষয়ে । এই অবস্থাতে সরকার আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য কোন এক বেসরকারি সংস্থাকে জানানোর কথা বলছেন । আপনারা বলছেন যে, ইকোসিস্টেম নষ্ট হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । কিন্তু সেটা কি ? আজ পর্যন্ত কোন জায়গায় তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি” ।
তবে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বিরোধীদের কোন বক্তব্যকেই গুরুত্ব দেননি । বিরোধীদের বক্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে, তিনি পকেট থেকে নিজের আধার কার্ড বের করে দেখান এবং সবাইকে উদ্দেশ্য করে কার্ডটি উঁচু করে ধরে তিনি বলেন, “এই কার্ডে আমার নাম, বাবার নাম, জন্ম তারিখ ও ঠিকানা উল্লেখ করা আছে । কোথাও ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায় বা আমার ব্যক্তিগত পরিচয় দেখানো নেই । কোন ব্যক্তি তার পরিচয় পাল্টাতে পারেন । কিন্তু চোখের মনি বা আঙুলের ছাপ পাল্টাতে পারেন না । এগুলো আমাদের সার্ভারে অতি যত্নে রাখা আছে । যা যথেষ্ট নিরাপদ । এগুলি কেউ কোন ভাবে ব্যবহার করতে পারবে না” ।
যাই হোক, আগামী দিনে দেখতে হবে এই আধার বিল নিয়ে আর বিরোধীরা বিরোধিতা করেন কি করেন না ?