দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে। সেই অবস্থায় খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন এবং ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। এত কিছুর মধ্যেও দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কাটছে না। আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যেমন শীর্ষ নেতৃত্বকে দোষারোপ করছেন। সিনিয়র নেতারাও আন্দোলনের ব্যর্থতার জন্য তৃণমূলের কর্মীদেরকে দোষ দিচ্ছেন।
বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন ও কাউন্সিল নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্চ কমিটির সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।
তবে খালেদা জিয়ার কারামুক্তিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক বিষয়ে বিএনপি সফল না হওয়ার জন্য নেতৃত্বের ব্যর্থতার কথা বলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, যারা দলের নেতৃত্বে আছেন তারা কর্মীদের আন্দোলনের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারেননি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন ও কাউন্সিল নিয়ে মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্চ কমিটির সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। কারণ ছাত্রদলের চলমান সঙ্কট সমাধানের জন্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এক মাস বা দুই মাসের জন্য একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে তারেক রহমানও একমত পোষণ করেন। তবে ছাত্রদলের কাউন্সিলের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির নেতৃবৃন্দরা চান না মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সফল হোক। যদি তারা সফল হয় তাহলে সার্চ কমিটির নেতৃবৃন্দরা ব্যর্থ হবেন। এজন্য সার্চ কমিটির নেতৃবৃন্দ তারেক রহমানকে বুঝান যে, এই দাবি মানা যাবে না। যদি মানা হয় তাহলে সংগঠনের ভিতরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে তারেক রহমান তার আগের সিদ্ধান্ত থেকে দূরে সরে আসেন। একারণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তাদের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চাচ্ছেন।