বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্কের আশা করা ভুল । পাকিস্তান বরাবরই ভারতকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে আসছে । ছলে বলে কৌশলে যেভাবেই হোক ভারতকে বিপদে ফেলতে পারলে তাদের আনন্দের সীমা থাকেনা ।নিজের দেশের ক্ষতি সত্বেও শুধুমাত্র ভারতের ক্ষতি করবে বলে জঙ্গিদের বা সন্ত্রাসবাদীদের নিজের দেশের মাটিতে আখড়া বানাতে দ্বিতীয় বার ভাবে না ।এমনকি তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা করে সরকার । একটা জাতির পক্ষে এটা যথেষ্ট লজ্জাকর । এমনও দেখা গেছে পাকিস্তানের সরকার জঙ্গিদের নিরাপত্তা  দেওয়ার জন্য মিথ্যা কথা পর্যন্ত বলছে ।

পারুক না পারুক, ক্ষমতায় না কুলালেও “মুখে মারিতং জগত” এই মতবাদে বিশ্বাসী পাকিস্তান । এমন একটা ভাব দেখায় ভারতের সাথে যখন তখন, যেকোনো পরিস্থিতিতে যুদ্ধ করতে তারা তৈরি । এরকম অবস্থায় পাক প্রধানমন্ত্রী যখন কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি ভারতকে যুদ্ধের হুমকি দেন, তখন ভারতের বিদিশা মিত্র বলেন, “এটা কোনো দায়িত্বশীল রাজনীতিকের কথা নয় ।স্রেফ  রাজনৈতিক হুমকি । ইমরানের বক্তব্য আর কিছুই নয় । তিনি বিশ্বকে আমরা-ওরা,’ ধনী-দরিদ্র , উন্নত ও উন্নয়নশীল, মুসলমান ও অবশিষ্ট বিশ্ব – এই ভাবে ভাঙতে চাইছেন । রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিচ্ছিন্নতাবাদের  জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করছেন ।  এমন এক দেশের নেতা এসব কথা বলছেন, যারা সন্ত্রাসবাদকে একচেটিয়া করে ফেলেছে । যেভাবে তিনি সন্ত্রাসবাদের সমর্থনে ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছেন তা নির্লজ্জ, অভব্যতা ।”

 

মাত্র 50 মিনিটের বক্তৃতা আর কিছু প্রশ্ন, তাতেই পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছেন এই  বিদিশা মিত্র । কিন্তু কে এই বিদিশা মিত্র ?  কি তার পরিচয় ? ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস-এর ২০০৯ ব্যাচের ক্যাডার বিদিশা। ২০০৮-এ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করেন। সারা দেশের মধ্যে ৩৯তম র‌্যাঙ্ক করেছিলেন তিনি । ২০০৯-এ বিদেশ মন্ত্রকের ‘বেস্ট অফিসার ট্রেনি‘ হিসেবে গোল্ড মেডেল পান। ‘পারমানেন্ট মিশন অব ইন্ডিয়া টু দ্য ইউএন’-এর সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের কনিষ্ঠতম সদস্য বিদিশা । রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত কোন বিষয়গুলি তুলবে তা দেখার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি ।

 

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা থেকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অতএব তার জবাব দিতেই হত কূটনৈতিক ভাবে! আর সেই জবাব দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিদিশা। মাত্র ৫০ মিনিট সময় নিয়েছিলেন তিনি পাকিস্তানের সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য। আর সেই সময়ে মাত্র পাঁচটা প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের দিকে। যা শুনে গোটা দেশ মুগ্ধ। পাকিস্তানের কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল, রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় থাকা ১৩০ জন জঙ্গি যে তাদের দেশেই রয়েছে সেটা কি অস্বীকার করতে পারবেন ইমরান? বিশ্বের একমাত্র সরকার যারা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা আল-কায়দাকে পেনশন দেয়, পাকিস্তান কি অস্বীকার করতে পারবে এটা?

ইমরানের ভাষণ প্রসঙ্গে বিদিশা আরও বলেন, ‘এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে, পাক প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্বকে আড়াআড়ি ভাবে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা-ওরা, ধনী-গরিব, উত্তর-দক্ষিণ, উন্নত-উন্নয়নশীল এবং মুসলিম-অন্যান্য। তাঁর এই ভাষণ প্ররোচনামূলক। ঘৃণায় ভরা।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চকে অন্যায় ভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন ইমরান। যে ধরনের শব্দ ইমরান প্রয়োগ করেছেন, তার মধ্য দিয়েই তাঁর মধ্যযুগীয় মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। যা একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে একেবারেই অনভিপ্রেত।’

ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ তুলেছেন ইমরান, সেই হাতিয়ারেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে তাঁকে বিদ্ধ করেছেন বিদিশা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে দেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়, তারা কী ভাবে ভারতকে মানবাধিকারের পাঠ পড়াতে আসছে!’

দেখুন সেই ভিডিও

 

 

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.