বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: আবারও ভয়ংকর বিপদ উপস্থিত পৃথিবীর সামনে। তবে এবারের বিপদকে কাটিয়ে উঠতে পারবে নীল গ্রহ পৃথিবী, বিজ্ঞানীরা তেমনটাই ধারণা করছেন।
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সূত্রে খবর, বিশালাকার একটি গ্রহাণু ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে। আকারে এটি পৃথিবীর বৃহত্তম অট্টালিকা ‘বুর্জ খলিফা’-র সমান। আনুমানিক দু’সপ্তাহখানেক পরেই তীব্র গতিতে পৃথিবী ঘেষে বেরিয়ে যাবে সেটি।
2000 QW7 নামক এই গ্রহাণু’টি ঘণ্টায় ২৩,১০০ কিমি গতিবেগে পৃথিবীর ধার ঘেঁষে ছুটে যাবে বলে জানিয়েছে নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (CNEOS)। তবে পাশাপাশি এই সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, বিশাল আকৃতি হওয়া স্বত্বেও যেহেতু গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৫৩ লক্ষ কিমি দূর দিয়ে যাবে, সেকারণে তেমন বড়ো কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখে গ্রহাণুটি পৃথিবী ঘেঁষে তীব্র গতিতে উড়ে যাবে বলে অনুমান করেছে নাসা। 2000 QW7 নামক এই গ্রহাণুটির প্রস্থ ২৯০ থেকে ৬৫০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ৮২৮ মিটার, যা পৃথিবীর বৃহত্তম অট্টালিকা ‘বুর্জ খলিফা’-র সমান আকৃতিবিশিষ্ট।
প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর মতোই 2000 QW7 গ্রহাণুটিও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এবং মাঝেমাঝেই পৃথিবী’র কক্ষপথকে অতিক্রম করে। ইতিপূর্বে ২০০০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর এটিকে পৃথিবীর কক্ষপথের কাছে দেখা গিয়েছিলো বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আনুমানিক ২০৩৮ সালে পুনরায় তাকে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করতে দেখা যাবে।
যদিও 2000 QW7 এর কারণে পৃথিবীতে তেমন বড়ো কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই, তা স্বত্বেও যথেষ্ট চিন্তিত রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের এই চিন্তার কারণ হলো, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা বৃহদাকার গ্রহাণুগুলি’কে প্রতিরোধ করার মতো আধুনিক কোনও অস্ত্র পৃথিবীর কাছে নেই।
ইতিপূর্বে মহাকাশ বিজ্ঞানী নিল ডিগ্রাস টাইসন সতর্ক করেছেন, আগামী ২০২৯ সালে অ্যাপোফিস নামক এক বিশালাকার গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে, যা পৃথিবীর ভয়ংকর ক্ষতি করবে। বলা হয়েছে যে, অ্যাপোফিস নামক ওই গ্রহাণু ভয়াবহ সুনামি সৃষ্টি করবে, যার ফলে উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূল সম্পূর্ণ মুছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি এপ্রসঙ্গে স্পেস এক্স এবং টেসলা সংস্থার সিইও এলন মাস্ক টুইটারে জানান, বর্তমানে ‘খুনে’ গ্রহাণুদের ঠেকাতে পৃথিবীর হাতে কোনও অস্ত্র নেই। এই কারণে ২০২৯ সালে পৃথিবীর বুকে আঁচড় কাটতে আসা গ্রহাণু অ্যাপোফিসকে রোখার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন মাস্ক।