বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গোটা দেশে সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে ভিআইপি, মন্ত্র, সেলেবরা পর্যন্ত আতংকে প্রহর গুনে চলেছে করোনা সংক্রমণের ভয়ে । এরই মধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে নার্সিং হোমে ভর্তি এবং সেখানেই মৃত্যু পর্যন্ত যে পরিমাণে বিল পেমেন্ট করার জন্য বলা হল তাতে চমকে উঠেছে মৃত ব্যাক্তির পরিজনরা । ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshiabad) বহরমপুরে ।
জানা হেছে মুর্শিদাবাদের (Murshiabad) বহরমপুরের বাসিন্দা বছর ৭২-এর এক বৃদ্ধ বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন । তার শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশির, শ্বাস কষ্টের মত করোনার উপসর্গ ছিল । সেই অবস্থায় তার আত্মীয় পরিজনরা কোন প্রকার ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন । সেখানে করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির মৃত্যুর পর তার আত্মীয়দের কাছ থেকে ধাপে ধাপে সাড়ে আট লক্ষ টাকা নিয়েছিল বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।ফের মৃত দেহ নেওয়ার সময় আরও ৬৫ হাজার টাকা দাবী করে । সেখানে মৃতের পরিবারের সদস্যরা ক্ষুব্ধ হন ।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের পরিবারের লোকজনদের দাবী, নার্সিং হোমের বিল মেটাতে কষ্ট হলেও আপত্তি নেই তাদের । কিন্তু এভাবে কোন নার্সিং হোম একজন মানুষ মারা যাবার পর কিভাবে ধাপে ধাপে বিল তৈরি করে ! আর মারা যাবার পরেও কেন বারবার টাকা চাইছে ! যদিও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যাক্তির পরিবারের লোকের প্রশ্নের কোন যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ দিতে পারেন নি ।
পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, অসুস্থ হবার পর তারা নার্সিং হোমে ভর্তি করে । সেখান থেকে করোনা করতে দেওয়া হয় । রিপোর্ট আসতেই জানা যায়, তিনি আক্রান্ত। এরপর বৃদ্ধের স্ত্রী ও পুত্রকেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ভর্তি করায় । শনিবার সেখানেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধের।তারপর প্রথমে নার্সিংহোমের তরফে তাঁদের সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বিল দেয়। পরে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে নার্সিংহোম। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে মৃতের পরিবারের কাছে আরও ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সব পাওনা মিটিয়ে শুক্রবার সকালে দেহ আনতে হাসপাতালে যায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা। সেখানেও আরও ৬৫ হাজার দাবী করে বসে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ । লাগাম ছাড়া কিভাবে ধাপে ধাপে এত বিল হল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে নার্সিং হোমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ।