বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল চিনার উস্কানিতে ভারতকে খুঁচিয়ে যাচ্ছে । এদিকে লাদাখের গালওয়ান থেকে সেনা সরাতে বাধ্য করেছে ভারত । আজই ভারতের হাতে এল ৩৭ টি অ্যাপাচে এবং চিনুক হেলিকপ্টার । এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের আবহেই ৭০০ ইউনিট জিপসি গাড়ি পাঠাল মারুতি সুজুকি।
বিশ্বের আধুনিক এসইউভি গাড়িগুলির তালিকায় ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার, মার্সিডিজ বেঞ্জ জি ক্লাসের মতো প্রথম সারিতেই রয়েছে মারুতি সুজুকির জিপসি। ১৯৮৫ সালে ভারতের বাজারে আসে জিপসি। সেই সময় এতে ছিল ৯৭০ সিসি এফ১০এ ইঞ্জিন।চিলি, কেনিয়া, ইউরোপের কিছু দেশে রফতানি করা হয় জিপসি। দুর্গম এলাকায় চলার জন্য অতুলনীয় এই জিপসি গাড়ি । কম্পানির পক্ষ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ৭০০ জিপসি গাড়ির আপগ্রেডেড ভার্সন পাঠানো হয়েছে প্রথম দফায় ।
মারুতি সুজুকির জিপসি গাড়ির বৈশিষ্ট্য বলে শেষ করা যায় না । জিপসি গাড়ি যে কোনও ধরনের রাস্তায় চলতে পারে। ১.৩ লিটারের পেট্রোলচালিত এই গাড়িতে ৮০ বিএইচপি ইঞ্জিন লাগানো রয়েছে। ভারতীয় সেনার খুব পছন্দের গাড়ি এই জিপসি। পাহাড়ি পথে বা বরফে ঢাকা পথে অন্যান্য এসইউভির তুলনায় জিপসি গাড়ি দ্রুত ছুটতে পারে। এই গাড়ির সফট ভার্সন ওজনে ৯৮৫ কিলোগ্রামের মতো আর হার্ড ভার্সনের ওজন ১০২০ কিলোগ্রামের কাছাকাছি। ফলে হেলিকপ্টার বা এয়ারক্রাফ্টে চাপিয়ে এই গাড়ি বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এই গাড়ি ৫০০ কিলোগ্রামের বেশি ওজনও বইতে পারে।
সীমান্তে দুর্গম এলাকায় টহল দেবার জন্য সেনাবাহিনীর জন্য জিপসি গাড়ি অত্যন্ত কার্যকরী ভুমিকা নেয় । সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জিপসি গাড়ির আপগ্রেডেড ভার্সনের জন্য বরাত দেওয়া হয়েছিল সুজুকিকে। সেই মতোই গাড়ির আধুনিকীকরণ করে সেনাবাহিনীতে এর প্রথম ইউনিট পাঠানো হয়েছে।
গত পাঁচ বছর ধরে বিশ্বের মধ্যে সামরিক অস্ত্র আমদানিতে প্রথম স্থানে আছে ভারত । এই মুহূর্তে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা ভারতীয় সেনাবাহিনীর রয়েছে । জল, স্থল এবং বিমান বাহিনীতে সামঞ্জস্য রয়েছে । পাশাপাশি রয়েছে ইসরায়েল, জাপান, রাশিয়া, আমেরিকা, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনামের মত দেশের সমর্থন । ফলে এবার থেকে ভারতকে চোখ রাঙ্গানোর আগে পাকিস্তান হোক বা চীন, বেশ কয়েকবার ভাবতে হবে ।