বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ একদিকে পাকিস্তান অন্য দিকে চীন দীর্ঘ দিন ধরেই কারনে অকারনে শত্রুতা করে আসছে ভারতের সাথে । চলতি বছরে যোগ দিয়েছে একদা বন্ধু রাষ্ট্র নেপাল । কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ভারত বিরোধিতা করে নিজের দলেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। ক্রমশ জোরাল দাবি উঠতে শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে ।
পাকিস্তান বরাবরই ভারতের সাথে শত্রুতা করে আসছে । যে সরকারই পাকিস্তানের ক্ষমতায় থাকুক না কেন, ভারতের সাথে বিরোধিতা না করলে টিকতে পারবে না । কিন্তু প্রতিবেশী দেশ নেপাল, যে কিনা ভারতের উপরেই অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে সে কিনা হঠাৎ করেই ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে ! এমনকী উত্তরাখণ্ডের তিনটি এলাকা তাদের বলে দাবি করে নতুন মানচিত্র সংসদে পাস করিয়ে নিয়েছেন ।নেপথ্যে ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এবার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির এই তৎপরতায় বেজায় চটেছে তাঁরই দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। সব মিলিয়ে চিনের কথা শুনে ভারত-বিরোধিতা করতে গিয়ে এখন ল্যাজেগোবরে দশা ওলির।
প্রথম দিকে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিল নেপালের মত একটা দেশ ভারতের বিরোধিতা করছে দেখে । পরে দেখা যায় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী তলে-তলে চিনের সঙ্গে যোগসাজশ করেই এই কাণ্ড করেছে । কথায় বলে “পাপি মরে সাত ঘর নিয়ে”, এখন নেপালের প্রধান মন্ত্রীর হয়েছে সেই দশা । দলের অন্দরেই ক্রমেই তাঁর পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ যতই স্পষ্ট হচ্ছে ততই ওলির এই ভারত-বিরোধিতায় কারণেই পদত্যাগ দাবি করছেন তাঁর দলের নেতারা।
শুধু টাই নয়, ইতিমধ্যে জানা গেছে আজকেই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ভাগ্য নির্ধারণের জন্য নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ফের গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠকে বসবে। সেই বৈঠকেই ভারত-বিরোধিতার খেসারত দিতে হতে পারে ওলিকে। তাঁকে হয়তো পদত্যাগ করতে বলা হবে এমনটাই খবর পাওয়া গেছে । এই মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার জন্য শাসকদলের নেতারা এখন ক্রমাগত দোষারোপ করে চলেছেন ওলিকে।
অবশ্য নেপালের প্রধান মন্ত্রী “ভাঙবেন তবু মচকাবেন না” । নিজের দলের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েও এখনও ভারতকে কাঠগড়ায় তোলার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দিল্লির চক্রান্তেই নাকি তাঁকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে প্রধান মন্ত্রী আরও বিপদে পড়তে চলেছেন চীনের সাথে বন্ধুত্ব পাতাতে গিয়ে । সম্প্রতি তিব্বত সীমান্তে নোপালের ৩৩ হেক্টর জমি দখল করে নিয়েছে চিন। এবার নেপাল কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটিই দেখার !