বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দিন যত যাচ্ছে চারদিক থেকে ততই চেপে ধরছে করোনা আতঙ্ক । চীনের পরেই ইরান এবং ইতালির অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে । সম্প্রতি করোনা নিয়ে ইরানের যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে মানুষের আতঙ্ক আরও একধাপ বেড়ে গেল । জানা গেছে ইরানে প্রতিঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ আর প্রতি ১০ মিনিটে মৃত্যু হচ্ছে এক জন করে করোনা আক্রান্ত রোগী ।
সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও ইতালি এবং ইরানসহ বেশ কিছু দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে । এর মধ্যে ইরানের সরকারী খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সেখানে করোনার কবলে পড়ে প্রান হারিয়েছেন ১২৮৪ জন । অন্য দিকে আরও ভয়ানক তথ্য দিয়ে ইরানের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, “আমাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি ১০ মিনিটে ১ জনের করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি ঘন্টায় ৫০ জন করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।”
এদিকে ভারতের প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানে করোনা পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধা ঠেকছে না । তার উপরে চীনের সাথে পাকিস্তানের বরাবরই বেশ মাখো মাখো ভাব । ফলে চীনে করোনা মহামারী শুরু হবার পরেও পাকিস্তানের সাথে বানিজ্য বা অন্য যোগাযোগের বিষয়টি একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না । বর্তমানে করোনা সঙ্কট পাকিস্তানে খুব একটা স্থিতিশীল নয়। বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে পাকিস্তানে একদিনেই দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে । গতকাল পর্যন্ত পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০০ জন । আজ আরও বেড়ে যাবার কথা । সেখানে করোনা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়লে আগামী দিনে কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেটি বড় প্রশ্ন । কারন পাকিস্তানের বিপদের সবচেয়ে বড় বন্ধু চীন । কিন্তু করোনার প্রভাবে চীন অর্থনৈতিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে । বাইরের বিশ্বের সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন । এই অবস্থায় যেখানে নিজেদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চীন, সেখানে পাকিস্তানের বিপদে এগিয়ে আসবে কি !
অন্য দিকে ইতালিতে করোনার মৃত্যু ক্রমশ চীনের থেকেও ভয়াবহ আকার ধারন করতে চলেছে । পরিসংখ্যান বলছে, গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত চিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩২০০র কাছাকাছি মানুষের । অন্য দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ইতালিতে ৩৪০০ ছাড়িয়ে গেছে । ফলে এখন যা পরিস্থিতি তাতে মৃতের সংখ্যায় ইউরোপের এই দেশেই ভাইরাসের একেবারে উৎপত্তিস্থল চিনকেও ছাড়িয়ে গেছে।