বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ করোনার মত একটা ঈর্ষাকাতর বিষয় নিয়ে যেখানে গোটা বিশ্ব আতঙ্কে রয়েছেন, সেখানে কলকাতার একটি শিক্ষিত পরিবার করেছে একদম অবিবেচকের মত কাজ । নিজেদের করোনায় আক্রান্ত ছেলেকে সময় মত হাসপাতালে নিয়ে তো যান নি, উপরন্তু কলকাতার জনবহুল এলাকায় দ্বিধাহীনভাবে ঘুরে বেরিয়েছেন । অথচ আক্রান্ত যুবকের বাবা একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নাম শ্যামল ঘোষ । আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে ১২ই জুন, ২০১৫ সালে তিনি একবার বসচায় জড়িয়ে স্থানীয় ছেলেদের কাছে প্রচণ্ড মারও খেয়েছিলেন ।
বছর পাঁচেক আগে করোনা আক্রান্ত যুবকের বাবা শ্যামল ঘোষ ছিলেন কৃষ্ণনগর পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ । তিনি সেই সময় কৃষ্ণনগরের জলঙ্গির কদমতলা ঘাটে চিত্র সাংবাদিকদের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে স্থানীয় ছেলেদের সাথে বসচায় জড়িয়ে পড়েন এবং সেই সময় তাঁকে মারধর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয়েছিল তাঁর নতুন স্কুটিও।
এবার আবারও বিপদে পড়তে চলেছেন করোনা আক্রান্ত যুবকের চিকিৎসক বাবা । নিজের ছেলে করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শ্যামল ঘোষ কৃষ্ণনগরে রোগীও দেখেন। ফলে প্রশ্ন ওঠে, সারা পৃথিবীজুড়ে এমন মহামারীর অবস্থা দেখেও এই রকম একটা শিক্ষিত পরিবার কী ভাবে এমন কাণ্ড ঘটাল তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে । রাজ্যসভার সদস্য এবং আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)-এর পশ্চিমবঙ্গের চেয়ারম্যান শান্তনু সেন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা আইএমএ-এর দিল্লির দফতরে আবেদন করা হয়েছে, যাতে ছেলের রোগ গোপন করা চিকিৎসক শ্যামল ঘোষের আইএমএ-এর সদস্যপদ বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা এও বলেন, সর্বভারতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যাতে ওই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে তারা।