পাকিস্তান সর্বদা আন্তর্জাতিক ফোরামে সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে। পাকিস্তান বহুবার বলা হয়েছে ভারতে বসবাসকারী সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বিশ্ব জানে প্রতিবেশী দেশটির এই দাবিতে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। কিন্তু, পাকিস্তান সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর যে নৃশংসতা চালাচ্ছে তাতে চোখ বন্ধ করে চলেছে। কারণ পাকিস্তানে আবারও ধর্মান্তরের ঘটনা দেখা গেছে।
প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে, 10টি হিন্দু পরিবারের অন্তত 50 জন লোক ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে। হিন্দু পরিবারের ধর্মান্তরিত হওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হিন্দু কর্মীরা। রাজ্য সরকার নিজেই গণধর্মান্তরের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে বলা হয়েছে, যারা ধর্মান্তরিত হয়েছেন তারা সিন্ধুর মিরপুরখাস এলাকার বাসিন্দা। এসব লোককে ধর্মান্তরিত করার জন্য একটি মাদ্রাসায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হল, এই নির্দেশ দিল আদালত!
সিন্ধু কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ধর্মান্তর ঘটে
মাদ্রাসার রক্ষণাবেক্ষণের দেখাশোনাকারী ক্বারী তৈমুর রাজপুতও হিন্দু পরিবারের ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এখানে ১০টি হিন্দু পরিবারের পঞ্চাশ জনকে আনা হয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে 23 জন মহিলা এবং এক বছরের মেয়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে সিন্ধু সরকারের জটিলতাও নিশ্চিত। কারণ মোহাম্মদ তালহা মাহমুদের ছেলে ধর্মমন্ত্রী মোহাম্মদ শামরোজ খানও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ধর্মান্তর বিরোধী প্রবিধানের দাবি উত্থাপিত হয়েছে
একইসঙ্গে গণধর্মান্তরের এই ঘটনায় বেশ উদ্বিগ্ন হিন্দু কর্মীরা। তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফকির শিব কুচি, যিনি এই ধরনের মামলার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন, বলেছেন যে মনে হচ্ছে প্রাদেশিক সরকার নিজেই এই ধরনের মামলায় জড়িত। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই সরকারের কাছে ধর্মান্তরিতকরণের বিরুদ্ধে আইন আনার দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে নাবালিকা হিন্দু মেয়েদের জোরপূর্বক বিয়ের কথা স্বীকারও করেছে জাতিসংঘ।
শিব কুচি বলেছেন যে সিন্ধুতে ধর্মান্তরের ঘটনা খুবই গুরুতর। সরকারের উচিত এ ধরনের মামলা বন্ধ করা, কিন্তু উল্টো এখানে মন্ত্রীর ছেলে নিজেই ধর্মান্তর কার্যক্রমে জড়িত। এটা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য চিন্তার বিষয়। আমরা খুব অসহায় বোধ করছি।
: ভাষা ইনপুট