আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদির বলেন, মিঃ ডোনাল্ড লু ঢাকায় এসেছেন, আমি ভেবেছিলাম তিনি সত্যিই সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চান, কিন্তু গতকাল রাতে তিনি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। আমরা তাদের বিধিনিষেধের পরোয়া করি না। যারা গণহত্যা অস্বীকার করে তারা নীতি বা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না।
বুধবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী তার নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে। বঙ্গবন্ধু কোনো অনিয়ম করলে তার কন্যা তাকে ক্ষমা করে না।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওবায়দুল কাদির এই নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে তার মতামত ব্যক্ত করেন।
ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদার সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আন্না হত্যাকাণ্ড নিয়েও কথা বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা আমাদের এমপিকে হত্যা করেছে তারা আমাদের দেশের মানুষ। যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। এমপি আনার সরকারকে জানিয়ে ভারতে যাননি। ডালিম ভারতে যাওয়া এবং সবকিছু উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে বিভ্রান্তির পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব যদি বন্ধুপ্রতীম দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তিনি কি দেখতে পান না সালাহউদ্দিন সাহেব সেখানে বছরের পর বছর বসবাস করছেন।
উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতে এমপি আনার হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে আজ বিকেলে বলেছেন, সরকারের বন্ধুদের হাত থেকে শুধু সাধারণ নাগরিকই নয়, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরাও নিরাপদ নয়। তাছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বহু বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন এই বিএনপি নেতা। পরে একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে ‘উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে’ শিলং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার নামে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছে। তবে ওই মামলায় খালাস পেলেও সারাহউদ্দিন আহমেদ এখনো দেশে ফিরতে পারেননি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদির বলেন, বিগত নির্বাচন দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। এর আগে আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তরুণ-তরুণীরা। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশের নারী-যুবকরা নৌকা ব্র্যান্ডকে ভোট দিচ্ছেন।