ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। বড় বড় মানুষ তার কাজের প্রশংসা করছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে সড়ক নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করতে পারে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান এসব কথা বলেন। সম্প্রতি ‘সঠিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ সড়কের দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সড়ক পরিবহনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলেই ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করতে পারে। যান চলাচল স্বাভাবিক হলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় যুব ও শিক্ষার্থীদের জন্য সামাজিক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন এমডি। মুনিবুর রহমান আরও বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নতুন মাত্রা এনেছে শিক্ষার্থীরা। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সমন্বয় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রয়োজনের তুলনায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা অপর্যাপ্ত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলে সড়ক নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সড়কের দায়িত্বরত ড. বক্তব্য দেন দায়ান নাফীস, মাহেরা আফরোজ, সাব্বির আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম, শাকিরা বিনতে আলম, মুনতাকিম ইসলাম ও অন্তরা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের ছাড়াও প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা ও মোহাম্মদপুর আইন কলেজের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. আব্দুল খালিক বক্তব্য রাখেন।