পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার জমি ও সড়ক দখলসহ বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন রিসিভার নিয়োগ করে গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট ও ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আজ শনিবার (৮ জুন) সকাল থেকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী পার্কের সকল কার্যক্রম চলবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি টিম পার্কে অবস্থান করে।
পরে তারা পার্কে প্রবেশ করে এবং বেনজির ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট এবং ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে ঘোষণা দেওয়া হয় নিয়ন্ত্রণ নিতে। ফলে শনিবার থেকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক চলবে।
এ অভিযানে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান রিগনসহ জেলা প্রশাসন ও দুদকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বেনজির ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়গীতল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমিতে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক নির্মাণ করেন। এই পার্কের প্রায় সব জমিই হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ভয়ভীতি, বলপ্রয়োগ ও নানা কৌশলে ক্রয় করা হলেও অনেক জমি বেদখল হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।