২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এবি পার্টির নেতারা বিজয় নগরে একটি শোক মিছিল বের করেন। তারা অর্থমন্ত্রীর প্রতীকী ব্রিফকেসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাজেট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।
বর্তমানে দলের যুগ্ম সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মেজর (অব.) আবদুল ওয়াহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন রানা ও সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান।
ডাঃ. মেজর (অব.) আবদুল ওয়াহাব মিনার বলেন, ‘এই সরকার জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই বছরের পর বছর ক্ষমতায় আঁকড়ে আছে। তিনি বারবার বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকারি অফিসে অদক্ষতা এবং জবাবদিহিতার অভাব জনসাধারণের তহবিলের অপচয় এবং দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের বৃদ্ধির ফলে। তাই সরকার ও নির্বাচিত সরকারের পদত্যাগ ছাড়া অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা কারো পক্ষে সম্ভব নয়।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডামি সংসদে আজ পেশ করা বাজেট আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ এটি এমন একটি বাজেট যা কর ও ঋণের বোঝা বাড়াবে। আমরা আগেই বলেছি, রাজনৈতিক বৈধতা ছাড়া সরকারি বাজেট কখনই জনকল্যাণকর হতে পারে না। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবায় ৩৯ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জের তীব্র বিরোধিতা। আমরা ইতিমধ্যেই কয়েক লাখ কোটি টাকার ঋণের বোঝা, এই সরকার আবার 2 লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার বাজেট দিয়েছে।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘যেভাবে আমাদের স্বাধীনতাকে দুর্বল করে বৃটিশ বণিক গোষ্ঠী দেশের সম্পদ বিদেশে লুটপাট করেছে, একইভাবে আওয়ামী ডামি সরকার স্বাধীনতার চেতনা বিক্রি করে জনগণের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে পর্বত এ বাজেট দেশের কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার কোনো পরিবর্তন আনবে না। তাই আমরা ঘোষিত বাজেট বিদ্বেষের সাথে প্রত্যাখ্যান করছি। জনসমর্থন ছাড়া এই অবৈধ সরকার থেকে আমাদের কোনো আশা নেই। আমরা আশা করি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই জনবান্ধব বাজেট দিতে পারবে।