ভারতের উপরিভাগ থেকে আসা বন্যায় কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও মৌলভীবাজার প্লাবিত হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১৮ লাখ মানুষ। এ ছাড়া ফেনীতে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বন্যার্তদের প্রতি সমবেদনা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ভারত বাঁধটি পরিত্যাগ করায় জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব প্রতিবেদনে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ে উৎপন্ন গোমতী নদী দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত। বাংলাদেশ নদীটির নিম্ন অববাহিকায় অবস্থিত। ওই নদীর ওপর নির্মিত বাঁধটি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশের সঙ্গে ১২০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে তিনটি স্থানে দুই দেশের যৌথ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যার কারণে নদীর পানির স্তর পর্যবেক্ষণ করা যাবে। বাংলাদেশ সরকার নিয়মিত এসব তথ্য পাচ্ছে। ওই তথ্যে দেখা যায়, গত দুই দিনে গোমতী নদী অববাহিকায় যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তা নজিরবিহীন। অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে ভারতের ত্রিপুরার বড় অংশও তলিয়ে গেছে।

ভারত সরকারের মতে, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে 120 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাঁধ থেকে জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়। বাংলাদেশও বহু বছর ধরে এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুবিধাভোগী। এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ নিয়মিত ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কের যাতে অবনতি না হয় সেদিকেও নজর রাখছে দিল্লি। সূত্র: ওয়েবসাইট।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.