জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
সোমবার সকালে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন। পরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দর থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান। সেখানে তিনি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
১৯৯০ সালে ফ্রাঁসোয়া মিটাররান্ডের পর এটিই প্রথম কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে গত শনিবার নয়াদিল্লি পৌঁছেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি জি-২০ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন। সফর শেষে আজ বিকেলে ঢাকা থেকে ফরাসি প্রেসিডেন্টের রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বিমানবন্দরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ঢাকায় ফরাসি দূতাবাস বলেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই সফর দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করবে। দ্রুত অগ্রগতির পথে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে ফ্রান্স এখন আগের চেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জানিয়ে রাখি, ফ্রান্সের সহযোগিতায় প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এটি একটি বড় স্যাটেলাইট।
এতে অনেক ‘ব্লাইন্ড স্পট’ থাকবে। ইউক্রেন ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সাথে ব্যাংকিং লেনদেন জটিল হওয়ায় স্যাটেলাইট প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমা দেশ ফ্রান্স বাংলাদেশকে চারটি ছোট পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলো তৈরি করবে এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস। চুক্তি হলে উভয় দেশই একে অপরের স্যাটেলাইট ব্যবহার করে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে পারবে। চারটি স্যাটেলাইটের মধ্যে দুটি ফ্রান্স এবং দুটি বাংলাদেশে নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে প্যারিস। এর ফলে বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ও যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা গড়ে তোলার সুযোগ থাকবে।