প্রায় এক দশক পর জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে চীন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৩ মে) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সচিব) সান উইডং এ বিষয়ে আলোচনা করছেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সচিবদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা বেইজিংয়ে চীনের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন।
বৈঠকে চীনের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি বাংলাদেশে বাণিজ্য সহায়তা হিসেবে ৫ বিলিয়ন ডলারের সমতুল্য ঋণের লাইন বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়েও আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত, চীন বাংলাদেশকে ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ৩,৬০০ বিলিয়ন ইউয়ান দিতে চায়।
আগামী সোমবার দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকে রাজনীতিসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। যেখানে উন্নয়ন প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মতো দ্বিপাক্ষিক বিষয় থাকবে। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক বিষয়েও আলোচনা হবে। এর সাথে যোগাযোগ অবকাঠামোর মতো নতুন সংযোগ প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণের কথাও ঘোষণা করা যেতে পারে।
এদিকে আম রপ্তানি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে আলোচনার জন্য চীনের একটি প্রতিনিধিদল জুনের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর থেকে আম রপ্তানির বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা চায় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সড়ক অবকাঠামো, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, রেলপথ, বন্দরসহ বিভিন্ন খাতে চীনকে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিতে আগ্রহী।