তৃণমূল নেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অন্য রাজ্য থেকে প্রার্থী আনার সমালোচনা করেছিলেন। তার ভাষায়, এই মানুষগুলো ‘বাইরের প্রার্থী’। কিন্তু আজকের নির্বাচনে মমতার দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন রাজ্যের তিনজন।
পশ্চিমবঙ্গের গুজরাট ও বিহারের এই তিন প্রার্থী হলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ, ইউসুফ পাঠান এবং বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা। কীর্তি আজাদ ও শত্রুঘ্ন সিনহা বিহারের বাসিন্দা। আর ইউসুফ পাঠানের বাড়ি গুজরাটে।
কীর্তি আজাদ একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। তিনি খুবই জনপ্রিয়। কীর্তির বাবা ভাগবত ঝাঁ আজাদ ছিলেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কীর্তি এর আগেও কংগ্রেস থেকে সাংসদ হয়েছেন। এবার তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন। এই আসনে কীর্তি-র প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শক্তিশালী প্রার্থী এবং বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ। দিলীপ মেদিনীপুরের সাংসদ হলেও এবার তাঁকে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে প্রার্থী করেছে দল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হতে পারে।
আরেক তারকা প্রার্থী, প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান বহরমপুর কেন্দ্র থেকে প্রথমবার তৃণমূল থেকে মাঠে নেমেছেন। ইউসুফ গুজরাটের বাসিন্দা। তিনি বহরমপুরে চারবারের সাংসদ ও রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়ছেন। বহরমপুরকে অধৈর্যের দুর্গ বলে মনে করা হয়।
অধীর চৌধুরী বলেন, বহরমপুরের মানুষ এবারও তাকে সংসদে পাঠাবে। তার জয় নিশ্চিত। হারলে দল ছাড়বেন তিনি।
বহরমপুরের রাজনীতিতে নতুন মুখ ইউসুফ পাঠান। এখানে বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা, যিনি একজন বিখ্যাত স্থানীয় চিকিৎসক। এমন পরিস্থিতিতে এই নির্বাচনে বহরমপুর আসনে অধীর ও ইউসুফ-নির্মলের মধ্যে ত্রিদেশীয় লড়াই হতে পারে।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর আসন থেকে লড়ছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কংগ্রেস-বাম দল সিপিএমের এসএম সাদি এবং বিজেপির কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি রাজমাতা অমৃতা রায়। তবে মূল লড়াই হতে পারে মহুয়া-অমৃতার। মহুয়া মৈত্র তৃণমূলের প্রধান প্রার্থী হলেও সম্প্রতি সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে সংসদ সদস্যপদ হারানোর পর লাইমলাইটে এসেছেন তিনি।