ভারতকে পরের ম্যাচ খেলতে হবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। (পিটিআই ছবি)
রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দল এখন পর্যন্ত ঘরের মাটিতে খেলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে চারটিতেই জিতেছেন। কিন্তু পরের ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া সেই দলের মুখোমুখি হবে যারা এখনও পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টে তাদের ব্যথা দিয়ে আসছে। বিশ্বকাপ-2023-তে ভারতকে রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম ম্যাচ খেলতে হবে। এই বিশ্বকাপে ভারতের কাছে নিউজিল্যান্ডের ম্যাচই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, কিন্তু আফগানিস্তান দেখিয়েছে কীভাবে টিম ইন্ডিয়া নিউজিল্যান্ডকে মুগ্ধ করতে পারে।
ভারত সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল 2003 সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর আর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি ভারত। গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে বিদায় নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ICC বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ-2021-এর ফাইনালেও ভারত নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে। তাই ভারতের জন্য বড় মাথাব্যথা নিউজিল্যান্ড।
স্পিন সম্ভবত সাহায্য করবে
18 অক্টোবর চেন্নাইয়ে আফগানিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অবশ্য এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড 149 রানে জিততে পারত, কিন্তু এই ম্যাচে আফগানিস্তানের স্পিনাররা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের কষ্ট দেয়। মাত্র ২৮৮ রান করতে পারে নিউজিল্যান্ড দল। মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানের সামনে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বেশ বিচলিত দেখাচ্ছিল। এই তিনজনের করা ২৮ ওভারে নিউজিল্যান্ড দল মাত্র ১৪১ রান করতে পারে এবং দুই উইকেট হারিয়ে স্কোর করে। ভারতেরও দুর্দান্ত স্পিনার রয়েছে। এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে রয়েছেন চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব। রবীন্দ্র জাদেজাকেও দেখা যাচ্ছে দারুণ ফর্মে। এমন পরিস্থিতিতে স্পিন খেলতে না পেরে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারেন দুজনেই।
পিচে কোনো পার্থক্য হবে না!
ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এখানকার পিচ ফাস্ট বোলারদের জন্য সহায়ক বলে মনে করা হয়, কিন্তু কুলদীপ ও জাদেজা এই পিচে মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে। জাদেজা সত্যিই একজন অভিজ্ঞ বোলার। তিনি জানেন এই পিচে কী ধরনের বোলিং করতে হবে। তিনি উইকেট থেকে উইকেটে বোলিং করেন এবং ব্যাটসম্যানদের একটু ফ্লিপ করেও প্রলুব্ধ করতে পারেন। একই সঙ্গে কুলদীপের স্পিন ধরাও সহজ নয়। এই পিচে স্পিনাররা কিছুটা সাহায্য পায় এবং কুলদীপ এর পুরো সুবিধা নিয়ে ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে পারদর্শী।