রোববার তিনি ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আ.সমাচ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউশন শাখার সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম।
এ মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন বলে জানান। আদালতের নির্দেশে রোববার তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলেও আদালত তাকে জামিন দিতে অস্বীকার করেন।
মামলার বিবরণী অনুসারে, 2 নভেম্বর, 2020 তারিখে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে সম্পত্তির বিবরণ দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুদকের কাছে সম্পত্তির বিবরণ দাখিল করেন। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত নথিপত্র ও দাখিলকৃত সম্পত্তির বিবরণী যাচাইয়ে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নামে ১৫ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৭৯ টাকা এবং ৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে। মোট ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ টাকা।
গিয়াসউদ্দিন ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ের তথ্য পেয়েছেন। এসব ব্যয়ের বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে সঞ্চয় হিসেবে ৬ কোটি ৮১ লাখ ২২ হাজার ৮৫৬ টাকা, গৃহসম্পত্তি থেকে আয় ২ কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ টাকা, বাবার কাছ থেকে পাওয়া জমির ১১ শতাংশ মূল্য ৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে রয়েছে ৭ কোটি টাকা। ভবন 7। কোটি টাকা, ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা মোট ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৭ টাকা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস হিসেবে পাওয়া গেছে।
তবে গিয়াসউদ্দিনের আয়কর নথি থেকে জানা যায়, দুদক ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগের কোনো বৈধ উৎস খুঁজে পায়নি। যা দুদক একটি পরিচিত অ-অর্জন সম্পদ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।