চাঁদাবাজি বন্ধের দায়িত্ব যাদের, তারাই চাঁদাবাজি বন্ধের সিদ্ধান্তে বাধা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী। আসন্ন ঈদুল আজহায় যাত্রী হয়রানি, ভাড়ায় বিশৃঙ্খলা ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সোমবার (১০ জুন) সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতি ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ও পরিবহন খাতে বিশৃঙ্খলার কারণে প্রাণহানি, যানজট হয়রানি ও ভাড়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। প্রতিবছর ঈদে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য বাস্তবায়ন না হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতি ঈদে অনফিট বাসে ও খোলা ট্রাকের ছাদে যাত্রী বহনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও পরিবহন সংকট ও বাসে অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে সাধারণ মানুষকে যানজট কমাতে নানা ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। বাস-ট্রাকের ছাদে যাতায়াত করে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন সব আয় শ্রেণির মানুষ।
তিনি দাবি করেন, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও পরিবহন বিশৃঙ্খলা ও সড়ক দুর্ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে।
এছাড়াও ঈদে দেশের সব সড়কে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে দেওয়া দায়িত্ব শতভাগ বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।