যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দিনের সফরে আগামীকাল ঢাকা আসছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তার এটাই প্রথম সফর।
এই যাত্রাকে কেন্দ্র করে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। আওয়ামী লীগ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে বিএনপির দাবি, ডোনাল্ড লু এই সফরে আগ্রহী নন।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, তার এবারের সফর রাজনৈতিক থেকে বেশি কূটনৈতিক। জলবায়ু সংকট ও দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদির বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি পিছপা হবে না। নিষেধাজ্ঞার পুরনো আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. তিনি বলেন, আমরা কোনো উত্তাপ ছড়াতে যাইনি। যেহেতু আর কিছু নেই, তাই বিএনপি বলতে পারবে ডোনাল্ড লু এসে সরকার দখলের উচ্চাকাঙ্খা আছে কিনা।
ডোনাল্ড লুর সফরকে বিএনপি আমলে নেয়নি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কে এলো, কে গেল তা নিয়ে চিন্তার সময় নেই। তিনি বলেন, তার দলের প্রধান শক্তি জনগণ।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, ডোনাল্ড লুর সফর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লিখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
সফরকালে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলবেন। বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।