গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে শুরু হয়েছে এবারের পবিত্র হজ ফ্লাইট। তবে অধিকাংশ হজযাত্রীর ভিসা শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবেদনের সময় আজ শনিবার (১১ মে) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী তাদের ভিসা পূরণ করতে পারেননি।
শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের দৈনিক বুলেটিন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীকে ভিসা দেওয়া হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজে যাবেন। তার মতে, ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী এখনো ভিসা পাননি।
শনিবারের মধ্যে অধিকাংশ হজযাত্রীর ভিসা শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছে হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিছু অবশিষ্ট থাকলে তাও দু-এক দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতার কারণে কেউ হজে যেতে পারবে না- এমনটি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এর আগে, এনডোমেন্টস মন্ত্রণালয় ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছিল। এরপর তা বাড়ানো হয় ৭ মে পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভিসা আবেদনের সময়সীমা 11 মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে তীর্থযাত্রী ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পরিস্থিতির দায় নিতে হবে।
এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন, যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।
এদিকে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৬ হাজার ৩৯২ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন।
এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরবে গেছেন। দুই দিনে তিনটি এয়ারলাইন্সের ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ জন হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।
বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা।
এদিকে, ভিসা নেই এমন বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীরা চিন্তিত। তবে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন এনডোমেন্টস মন্ত্রী। যেহেতু 259টি বেসরকারি হজ এজেন্সির মধ্যে অনেকগুলি প্রথম বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি, তাই দ্বিতীয় দফা বাড়ানো হয়েছে।