ইসরায়েল ও ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর কথা বলছে আমেরিকা। এখন তারা তুরস্ককে এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে রাজি করার চেষ্টা করছে। তুরকিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা জানিয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে ইরানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে এমন মিত্রদের সঙ্গে কথা বলছে আমেরিকা। তুরকিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা জানিয়েছেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেফ ফ্লেক বলেছেন, “আমি আমার সব মিত্রকে বলেছি যাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আছে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে।” তুর্কিও এর অন্তর্ভুক্ত।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধ যাতে আর না ছড়ায় সে জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে গোপন হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। ইরান এই হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। হিজবুল্লাহ ও হামাস পাল্টা হামলায় তাদের অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।
এরপর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। পশ্চিম একটি নতুন বড় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা করছে। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকান বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করে চলেছে। সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে ইসরাইলও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। উপরন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমারা ইরান এবং তার মিত্রদের আক্রমণ থেকে বিরত রাখতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।