ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন ইয়া রশিদ বলেন, আমরা শুধু ভাতই খাই না, অস্ত্রও উদ্ধার করি।
আজ বিকেলে নিজ কার্যালয়ে ডিবি প্রধান সাংবাদিকদের আরও বলেন, যেখানেই ঘটনা ঘটুক না কেন, অপরাধীদের চিহ্নিত করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। অনেকেই মনে করতে পারেন ডিবি অফিস ভাতের হোটেল। এতে আমরা হতাশ বা হতাশ হব না। এটা আমাদের মানবিক দিক।
বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে ডিবি কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মধ্যাহ্নভোজের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এবার তিনি ছাত্রদল নেতাদের অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জবাব দেন।
ডিবি প্রধান হারুন ও রাশেদ বলেন, ‘অনেক ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে আসেন। আমরা তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি। মাঝে মাঝে বিকেল হলে আমাদের অফিসাররা মানবিকভাবে তাদের নাস্তা বা ভাত খেতে বলেন। এটাই আমাদের মানবতা।
ছাত্রনেতাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান বলেন, পুলিশকে দুর্বল ভেবে যে কোনো অস্ত্র বিক্রেতা, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী বা সন্ত্রাসী ঢাকা শহরে অবাধে বিচরণ করবে এবং আমাদের ডিবি টিম বসে থাকবে, এটা হতে পারে না। আমাদের আইনি প্রক্রিয়ায় যা করা দরকার আমরা তা করব। তিনি আরও বলেন, ডিবি কাউকে ভয় পায় না।
হারুন অর রাশেদ আরও বলেন, ‘প্রমাণ যাই থাকুক না কেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে অস্ত্র ব্যবসায়ী যে দলেই হোক না কেন। আমাদের টিম ডিবি পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করবে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃতদের গডফাদার খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আমরা সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে চাই।