সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদির বলেছেন, সড়ক-মহাসড়কের পাশে কোরবানির পশু জবাই হবে না। কারণ প্রতি বছরই এসব পশু মেলার কারণে ব্যাপক যানজটের কারণে সাধারণ মানুষের সমস্যা বেড়ে যায়। সড়কে যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে মহাসড়কের পাশে পশুর গাড়ি পার্কিং না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিআরটিএ ভবনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, কোরবানি ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে ২১৭টি অস্থায়ী গরুর গাড়ি ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে কোরবানির পশুর যানবাহন পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং টোল প্লাজাগুলিতে ইটিসি বুথগুলি চব্বিশ ঘন্টা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যাত্রী বহন না করাসহ মালামাল ও পশু বহনকারী যানবাহনের সামনে ব্যানার লাগানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বলা হয়, টোল প্লাজার ওপর দিয়ে যাওয়া পশুর যানবাহনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কর্ণফুলী সেতু, মেঘনা সেতু, গোমতী সেতু, পায়রা সেতু, খান জাহান আলী (রূপসা) সেতু, চরসিন্দুর সেতু, শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু, আত্রাই টোল প্লাজা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) মহাসড়ক 9 ব্রিজসহ দুটি মহাসড়ক। SOAZ এর অধীনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক টোল আদায় অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া সেতু বিভাগের অধীন পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের ইটিসি বুথ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে।
সভায় ঈদের ৭ দিন আগে ঘূর্ণিঝড় রামলের প্রভাবে সম্প্রতি সুয়েজের তলদেশে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার পাশাপাশি জাতীয় মহাসড়ক ও করিডোর মেরামত ও সংস্কার কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে যানজট নিরসনে সম্ভাব্য স্পট মনিটরিং নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় বলা হয়, সারাদেশে ১৫৫টি সম্ভাব্য যানজটের স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। ঈদুল আজহার আগে ও পরে এসব স্থান নজরদারির আওতায় আনা হবে।