স্বাধীনতা, উন্নয়ন, শিক্ষা, প্রশাসন, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক মূল্যবোধ, সুশাসন, রাষ্ট্রের দর্শনের মতো কিছু নেই যা বঙ্গবন্ধু ছাড়া ভাবা যায়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে আবার নিজের পায়ে দাঁড় করানো। কাজটি খুব কঠিন ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর একটি গুণ ছিল তিনি বুঝতেন কে কোন কাজ করবে।
তিনি আরও বুঝতে পেরেছিলেন যে একটি দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে একটি দক্ষ প্রশাসন প্রয়োজন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলে একজন বাঙালির পক্ষে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অংশ হওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের জনগণের একটি বড় অংশ ছিল পাকিস্তানি মতাদর্শের। বঙ্গবন্ধু এও জানতেন যে, দেশের প্রশাসনকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে প্রশাসনে এক ভয়ানক আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্ম হতে পারে, যা আবারও এক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে উত্থাপন করে রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। ধ্বংস করতে পারে।
তিনি আরও বুঝতে পেরেছিলেন যে একটি দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে একটি দক্ষ প্রশাসন প্রয়োজন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলে একজন বাঙালির পক্ষে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অংশ হওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের জনগণের একটি বড় অংশ ছিল পাকিস্তানি মতাদর্শের। বঙ্গবন্ধু এও জানতেন যে, দেশের প্রশাসনকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে প্রশাসনে এক ভয়ানক আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্ম হতে পারে, যা আবারও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে এবং জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে উত্থাপন করে রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। ধ্বংস করতে পারে।
আমলারা যখন তাদের নীতি ও ধারণা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের ওপর চাপিয়ে দেয়, তখনই ভয়ঙ্কর আমলাতন্ত্রের জন্ম হয়। আমলাতন্ত্র সম্পর্কে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির একটি গুরুত্বপূর্ণ উক্তি এখানে লক্ষণীয়। প্রণব মুখার্জি 2018 সালের নভেম্বরে ভারতের আহমেদাবাদের মর্যাদাপূর্ণ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে বলেছিলেন, ‘আমলাতন্ত্র আমাদের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা, যা আমাদের সংস্কার করা দরকার।’ ভারতীয় আমলাতন্ত্রের মূল্যায়ন করার জন্য প্রণব মুখার্জির চেয়ে যোগ্য আর কেউ নেই। তিনি এই আমলাতন্ত্রের তিনটি আমল দেখেছেন।
বাংলাদেশের আমলারা কিছু প্রতিকূল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং এইভাবে সরকারকে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা পেশাজীবীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়। তারা সমস্যা তৈরি করে যেখানে কোন সমস্যা নেই। বর্তমানে এমন সিদ্ধান্ত দেশের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকসহ অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরকারের সামনে ফেলে দিয়েছে। শুধু আমলারা বাকি।