দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। বিশেষ দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এই লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন ফজিলতুন নেশা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর সকল কাজের অনুপ্রেরণা এবং তার রাজনৈতিক জীবনে তার ছায়া হিসেবে কাজ করেছেন।
বাঙালী জাতির মুক্তির সনদে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ঘোষণার পর পাকিস্তানি শাসকদের দ্বারা বারবার কারারুদ্ধ হলে আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলতুন নেছা মুজিবের কাছে ছুটে যান। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন নির্দেশনা অবহিত করেন এবং সংগ্রাম চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় কিছু দুষ্কৃতকারী যারা স্বাধীনতা আন্দোলনকে ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিল। প্যারোলে বেগম মুজিবের কট্টর বিরোধিতা বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে ইন্ধন যোগায়। স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী বেগম মুজিব সারা জীবন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যার জন্য তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
তার নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও জনগণের সংগ্রামে সমর্থন দেওয়ার সাহসের কারণে বেগম মুজিব বর্তমানে জাতির জনকের পাশাপাশি জাতির পিতার চেয়ারে অধিষ্ঠিত। তিনি এদেশের রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন যা কুখ্যাতি নিয়ে বেঁচে থাকবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারসহ এই শ্রদ্ধেয় নারীকে ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে শহীদ করেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগ ‘বিজয়-লক্ষ্মী নারী অনুপ্রাণিত, ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করবে। দুপুর ২টার পর বাদ জোহর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় শিশুদের খাবার দেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। বিকাল ৩টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শ্রমিক লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের উদ্যোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হবে। ‘বাংলাদেশের মা, বাংলাদেশের নেত্রী’ ও বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, সেতু ও সহযোগী সংগঠনের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বেগম ফজিলাতুন নেশা মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।