রাজধানীর গুলশান বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এক পুলিশ সদস্য গুলি করে আরেক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। শনিবার রাতে কনস্টেবল কাউসার আলী গুলি করে কনস্টেবল মনিরুলকে হত্যা করেন। নিহত মনিরুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের চালক সাজ্জাদ শেখও গুলিবিদ্ধ হন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কর্তব্যরত দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কাউসার আলী অস্ত্র তুলে গুলি চালায়। মনিরুল ইসলাম সরাসরি বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কাউসার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সোয়াটসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছান।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিতে ছিলেন। এতে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে ঘটনাস্থলেই কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের চালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এখন তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে তিন রাউন্ড গুলি লাগে। হামলাকারী কনস্টেবলকে থানায় নিয়ে নিরস্ত্র করা হয়। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি গুলির খোসা ও বিশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি।
ডিএমপির কূটনৈতিক নিরাপত্তা অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, কাউসার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে, হামলাকারী পুলিশ সদস্য সম্পর্কে আমরা যতদূর জানি, তিনি গত পাঁচ-ছয় দিন ধরে বেশ শান্ত ছিলেন। সে তার অন্য বন্ধুদের সাথেও কথা বলছিল না। আমি তার ব্যাচমেটদের সাথে কথা বলে বিষয়টি জানতে পেরেছি।