সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসন করা হবে।
সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের খোঁজখবর নিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ উপদেষ্টা এ কথা বলেন। তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
ডিএমকে হাসপাতাল পরিদর্শন করার পরে, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেছিলেন যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা সরকারের প্রধান কর্তব্য। এই শিশুদের নিরাপদ জীবন দিতে না পারলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হব।
এ সময় উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এ আন্দোলনে আহত ও নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে হাসপাতালের রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। আহতদের পুনর্বাসনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবে। আহতদের পুনর্বাসন করবে মন্ত্রণালয়।
শারমিন মুরশিদ বলেন, আমরা নতুন চিকিৎসক পেয়েছি, নতুন চিকিৎসা সেবা পেয়েছি। নতুন বাংলাদেশ চাই এসব চিকিৎসক ও সেবা। আমাদের ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে যেমন ভোলা যায় না, তেমনি ২০২৪ সালের নতুন বাংলাদেশের স্মৃতিও মুছে ফেলা যায় না। আমরা মৃতদের ভুলে যেতে দেব না। যে শিশুরা নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে তাদের নিরাপদ জীবন দিতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে। এই শিশুদের সুস্থ না হলে, পুনর্বাসন না হলে আমাদের অবস্থা ভালো হবে না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রকের সমস্ত প্রকল্প এখন থেকে এই সাহসী শিশুদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হবে।
উপদেষ্টা সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের তথ্য দিতে অনুরোধ করেন। এ জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি সেল খোলার কথাও জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সফিকুর রহমান, ঢাকা মেডিকেলের উপ-পরিচালক ডা. মো. খলীকুজ্জামান, সহকারী পরিচালক ডাঃ আশরাফুল আলম, ডাঃ আব্দুর রহমান ও ডাঃ এক. সামাদ প্রমুখ।